Neymar did not score a goal-assist, but the best match

Neymar did not score a goal-assist, but the best match

ফুটবলারের স্ত্রী স্মৃতি থেকে আজকের পরীমনি ।। পরীমনির জীবনী

ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিলেন তিনি। সহজেই বোঝা যায় তিনি মেধাবী। সেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন তার ক্যারিয়ারেও। অভিনীত চলচ্চিত্রে হিট তকমা না  লাগলেও পরিচালক-প্রযোজক সবার কাছেই তিনি কাঙ্ক্ষিত নায়িকা ও অভিনেত্রী। বলছি শামসুন্নাহার স্মৃতি অরুপে পরীমনির কথা। টপ অফ দ্য কান্ট্রি’ এখন পরীমনি। ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে আলোচনার শীর্ষে এখন এই অভিনেত্রী। শুরু থেকেই পরীমনির সব বিষয়েই সকলেরই রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। তিনি যেখানেই গিয়েছেন বা যা করেছেন তাই নিয়েই শিরোনামে এসেছেন।

এমনকি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনে এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকায় রয়েছে পরীমনির নাম। ওই তালিকায় তার সঙ্গে রয়েছে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিতের মতো জনপ্রিয় বলিউড তারকাদের নামও। অনলাইনে প্রকাশিত ওই তালিকায় পরীমনি সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ফেসবুকে প্রায় ১ কোটি অনুসারী রয়েছে পরীমনির।

কিন্তু জানেন কী এই পরীমনি এক সময়– বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন প্রফেশনাল ফুটবলার সৌরভ কবীরের সঙ্গে। শুধু তাই নয় অনেক পুরুষের সঙ্গেই নাম জুড়ে ছিল এই অভিনেত্রীর।

চলুন জেনে নেয়া যাক শামসুন্নাহার স্মৃতি থেকে আজকের পরীমনি হয়ে উঠার গল্প: ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর শামসুন্নাহার স্মৃতি অর্থাৎ  পরীমনি খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র আড়াই বছর বয়সেই মা সালমা সুলতানাকে হারান তিনি। একটু বড় হয়ে হারান বাবাকেও। পরীমনি বড় হয়েছেন পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্স-এ পড়াকালীন ২০১১ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং বুলবুল ললিতকলা একাডেমি (বাফা)য় নাচ শেখেন।

ওই সময়ই আস্তে ধীরে তিনি বিনোদন জগতে পা রাখেন। শুরুতে নাটক ও মডেলিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অভিনয় জীবন শুরু করেন টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে। তিনি সেকেন্ড ইনিংস, এক্সকুসিভ, এক্সট্রা ব্যাচেলর’, ‘নারী ও নবনীতা তোমার জন্য, এ চারটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন।

এরপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন পরীমনি। সাধারণত কোনো নবাগত অভিনেতা বা অভিনেত্রীর কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পর বা ওই চলচ্চিত্র হিট হওয়ার পরই সাধারণ মানুষ ওই অভিনেতাকে চেনেন বা তার সম্পর্কে জানেন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন পরীমনি।

২০১৩ সালের শেষের দিকে প্রথম ছবির শুটিং করেন তিনি। ওই ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তিনি অভিনয় করে ফেলেন এক ডজনেরও বেশি ছবিতে। এ ছাড়া চুক্তিবদ্ধ হন দেড় ডজন ছবিতে।

রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় চারদিকে। কে এই পরীমনি? কিন্তু অতি অল্প সমযে এত বেশি সংখ্যক ছবিতে অভিনয় করলেও আলোর মুখ দেখছিল না তার অভিনীত কোনো ছবি-ই৷ অবশেষে ২০১৫ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশের অর্ধশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় পরীমনির প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা সীমাহীন’।

রানা প্লাজা (২০১৫) ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বেশি আলোচনায় আসেন পরীমনি। সাভারের রানা প্লাজা ধস– এবং ১৭ দিন ধরে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়া— পোশাক শ্রমিক রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে– বাণিজ্যিক প্রেমের সিনেমা ছিল ‘রানা প্লাজা’। এতে রেশমা’র ভূমিকায় অভিনয় করেন পরীমনি। কিন্তু বেশকিছু দৃশ্য, রানা প্লাজা ধসের চিত্রায়ন প্রভৃতি নিয়ে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানালে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত যে ছবির কারণে পরীমনি আলোচনায় আসেন, সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।

শুধু কাজ দিয়ে নয়, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ব্যক্তিগত কারণে বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। অনেক পুরুষের সঙ্গেই পরীমনির বিয়ের কথা প্রকাশ্যে এসেছে।

২০১৬ সালে প্রকাশ্যে আসে পরীমনির স্বামী ভোলার ইসমাইল। তাদের দুটি একান্ত ছবিও প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু পরীমনি পুরো বিষয়টাকে অস্বীকার করে। এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, সেই সময় শাকিল রিয়াজ নামের একজন ফেসবুকার– পরীমনির আর এক স্বামীর কথা প্রকাশ্যে আনেন। তিনি জানান পরীমনির স্বামী সৌরভ কবীর। সৌরভ কবীরের সঙ্গে ৩ বছর প্রেম করার পরে তারা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেন ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল। পরে সেটা দুই পরিবার থেকেই মেনে নেয়। সৌরভ কবীরের বাসা যশোরের কেশবপুরে। তিনি পেশায় একজন প্রফেশনাল ফুটবলার।

সৌরভ কবীরের পরিবারের সম্মতিতেই মিডিয়া জগতে প্রবেশ করেন পরীমনি। তারা নিজেদের ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে তাদের এ সম্পর্কের কথা আড়াল করে রেখেছেন। এরপরে তাদের বিয়ের কাবিননামাও প্রকাশ করা হয়।

এরপরেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরীমনির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা এবং সেগুলো ভেঙে যাওয়ার খবর বের হয়। সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গেও পরীমনির প্রেম ও বাগদানের খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যদিও বিয়ের আগেই তা ভেঙে যায়।

গেল বছর ৯ই মার্চ অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজী ডেকে বিয়ে করেন পরীমনি ও পরিচালক-থিযেটারকর্মী কামরুজ্জামান রনি। নিজের বিয়ের খবর জানান দিয়ে পরীমনি লিখেছিলেন, জানেন, আমরা তিন টাকায় বিয়ে করেছি! কিউট না?

কিন্তু কিছুদিন বাদেই সে বিয়ে ভেঙে যাবার খবর বের হলে পরীমনি নিশ্চুপ হয়ে যান। গণমাধ্যমে বিয়ের প্রসঙ্গ এলে স্বামীর বিষয় যেন না টানা হয় তা বলে দেন। জানিয়ে দেন, বিয়ে নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না। পরীমনিকে নিয়ে আলোচনায় যেন কখনই ভাঁটা পড়েনি। সবসময়ই শিরোনামে ছিলেন এই নায়িকা।

বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে ঈদুল আজহায় সহকারী শিল্পীদের জন্য– এফডিসিতে কোরবানি দিয়েও সংবাদ শিরোনামে পরীমনি। এছাড়াও সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়ি কিনে আলোচনায় আসেন পরীমনি। করোনাকালে পাঁচ তারকা হোটেলে নিজের জন্মদিন উদযাপন করে আলোচনার জন্ম দেন তিনি।

পরীমনি অভিনীত ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল ‘মন জুড়ে তুই, ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’, ‘নগর মাস্তান’, ‘মহুয়া সুন্দরী’। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘মন জানে না মনের ঠিকানা, পুড়ে যায় মন’, ওয়াজেদ আলী সুমনের অ্যাকশনধর্মী ‘রক্ত’, এবং শফিক হাসানের ‘ধূমকেতু’।

২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘কত স্বপ্ন কত আশা, ‘আপন মানুষ’, ‘সোনা বন্ধু, এবং মালেক আফসারীর ‘অন্তর জ্বালা’। তারপর মুক্তি পায় গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ ও চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্ব সুন্দরী’সহ বেশ কিছু সিনেমা। তাছাড়া জনপ্রিয় হবার পর পরীমনি বেশ কয়েকটি টিভি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে  রয়েছে লাক্স, স্যান্ডেলিনা, ওয়াল্টন, প্রান আপ, প্রান চাটনিসহ ইত্যাদি পণ্যের প্রমোশন।

এছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন, বায়োপিক, প্রীতিলতাসহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র। তিনি একাধারে শাকিব খান, বাপ্পী, সাইমন, জায়েদ খানসহ সবার সঙ্গে অভিনয় করেছেন। আবার চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনের সুত্রে গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, মাসুদ হাসান উজ্জলের মতো ডিরেক্টরদের সঙ্গেও কাজ করেছেন।

ফজলুর রহমান বাবুর জীবনী

ফজলুর রহমান বাবু, একজন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং সঙ্গীতশিল্পী। সংক্ষেপে বাবু নামে অধিক পরিচিত। তিনি ২২ আগস্ট ১৯৬০ সালে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটান সেখানেই। ১৯৭৮ সালে ফরিদপুরের বৈশাখী নাট্যগোষ্ঠিতে যোগদানের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। একই বছর, তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় নাট্য উৎসবে অভিনয় পরিবেশন করেন। তার বাবার কর্মস্থল পরিবর্তনের ফলে তারা সেখান থেকে চলে আসেন।

১৯৮৩ সালে তিনি অগ্রণী ব্যাংকে যোগদান করেন এবং তার কর্মস্থল ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ঢাকায় চলে আসার পর তিনি মামুনুর রশীদের ‘আরণ্যক নাট্যদল’ এ যোগদান করেন। মঞ্চে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হলো, ‘নঙ্কার পালা’, ‘পাথার’ ও ‘ময়ূর সিংহাসন’।

তিনি ১৯৯১ সালে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত প্রথম টেলিভিশন নাটক মৃত্যুক্ষুধা। এটি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত মৃত্যুক্ষুধা অবলম্বনে নির্মিত। এই নাটকটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে  প্রচারিত হয়। ঐ বছরেই মামুনুর রশীদের ইতিকথা টেলিভিশন নাটকে তিনি পরান মাঝির চরিত্রে অভিনয় করেন। এর ফলে, তিনি সুন্দরী ও দানব নাটকেও অভিনয়ের সুযোগ পান। বাবু তার হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে বিখ্যাত কিন্তু তার দানব এবং জয় জয়ন্তীর মত মঞ্চ নাটকে তিনি গম্ভীর চরিত্রে অভিনয় করেন।

এরপর ২০০০ সাল পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে টেলিভিশন ও থিয়েটারে কাজ করেছেন তিনি। তবে টেলিভিশনে কাজে ব্যস্ততা বাড়লে তিনি থিয়েটারে অভিনয় কমিয়ে দেন। ২০০০ এবং ২০০১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বাবু প্রথম আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কাজ করেন, মঞ্চে বিহঙ্গ নাটকে। এছাড়া বাবু ২০০৭ সালে তৌকির আহমেদ পরিচালিত দারুচিনি দ্বীপ  চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে মনপুরা সিনেমায় দুইটি গান গাওয়ার মাধ্যমে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ঐবছরেই প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক সঙ্গীত অ্যালবাম ইন্দুবালা  । এর আগে ২০০৮ সালে তিনি মিশ্র সঙ্গীত অ্যালবাম– মনচোর  এ চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

তিনি অসংখ্য টেলিভিশন নাটক, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং বহু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তিনি নাট্যধর্মী শঙ্খনাদ , মেয়েটি এখন কোথায় যাবে  ও ফাগুন হাওয়ায়  চলচ্চিত্রে– অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে– এবং গহীন বালুচর (২০১৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনয়শিল্পী বিভাগে– জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৩ এবং ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনেতা (সমালোচক) মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান। এছাড়াও ২০১৩ সালে ধারাবাহিক নাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা – পার্শ্ব চরিত্র এবং ২০১৯ সালে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেম বিষয়ক নাটকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস পান।

 তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র সমূহ দারুচিনিদ্বীপ , মনপুরাঅজ্ঞাতনামা, হালদা, বিহঙ্গ, চতুর্থ মাত্রা,   শঙ্খনাদ, না বোলনা, আহা!, মেড ইন বাংলাদেশ, স্বপ্নডানায়, একাত্তরের নিশান, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গহীন বালুচর, স্বপ্নজাল, নুরু মিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার, দহন, রেমাক্রী, ফাগুন হাওয়ায়, ইন্দুবালা, মায়াবতী, বিশ্বসুন্দরী

আফরান নিশোর জীবনী

আফরান নিশো। পুরো নাম আহমেদ ফজলে রাব্বি। তিনি ১৯৮৮ সালের ৮ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার– ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামে– জন্ম গ্রহন করেন। স্থানীয় ভাবে তাদের বাড়ি ভারই সেন বাড়ি নামে পরিচিত।

তার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ ভোলা মিঞা, টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি ফুসফুসে ক্যানসারজনিত রোগে পহেলা অক্টোবর ২০২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। নিশোর এক ভাই ও এক বোন রয়েছে। ২০১১ সালের মে মাসে আফরন নিশো তৃষাকে বিবাহ করেন— এবং  প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে তাদের- নায়রওয়ান নামে এক পুত্র জন্মগ্রহণ করেন।

ছোট বেলা থেকে টাঙ্গাইল শহরে বেড়ে উঠেছেন তিনি। নিশো টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে— ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা পড়া করেন। পরে ঢাকা ধানমন্ডি বয়েজ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন । ঢাকা কলেজ থেকে এইচ এস সি পাস করেন। এরপর ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে গ্যাজুয়েশন করেন।

বর্তমান সময়ে ছোটপর্দার সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ আফরান নিশো। নিশোর স্মার্ট এন্ড এট্রাকটিভ লুক, ইউনিক এবং দুর্দান্ত ভিন্নধর্মী অভিনয় দিয়ে—- খুব অল্প সময়ের মধ্যে আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন— এবং কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। একজন অভিনেতা যে এত অসাধারন এবং ন্যাচারাল অভিনয়—- করতে পারে যা নিশোর অভিনয় দেখলেই সকলে উপলদ্ধি হয়। তাই তো এদেশের তরুন প্রজন্ম তাকে নাটকের বস বা গুরু বলে সম্বোধন করেন ।–

২০০০ সাল থেকে নিশো প্রথমে বিভিন্ন বুটিক হাইসের– স্টিল ফটো মডেল হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করেন।

২০০৩ সালে অমিতাভ রেজার বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর যাত্রা। এরপরে আরো নানা নির্মাতার সাথে নানারকম কাজ করেন নিশো এবং একই বছর আফজাল হোসেনের প্রতিষ্ঠান টকিজে একদিন স্ক্রিন টেস্ট দেন—- এবং টেস্ট কমপ্লিট করে থাইল্যান্ডে গিয়ে ডাবল কোলা ব্র্যান্ডের— জিনি জিনজার ফ্লেভারের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নেন তিনি। এরপরে গাজী শুভ্র, গোলাম হায়দার কিসলু, কিরন মেহেদী সহ খ্যাতনামা অনেক পরিচালকের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন ।

২০০৫ সালে বাংলাভিশনে প্রচারিত গাজী রাকায়েতের পরিচালনায়— ঘরছাড়া নাটকের মধ্যদিয়ে তার নাটকে অভিনয় জীবন শুরু হয়। প্রথম নাটক করেই সকলের নজর কাড়েন তিনি— এবং এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নিশোকে ।

নিজের অভিনয় নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন নিশো, আর স্বপ্ন হলো একদম বাস্তবিক সব ধরনের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে চান তিনি । কোন একটি চরিত্রে নয় বরং বহুমাত্রিক চরিত্রে কনটিনিউ অভিনয় করে যেতে চান তিনি । তিনি প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদিকে আইডল মানেন।

অভিনয়ের পোকা এই মানুষটাকে চলচিত্রে দেখা যায়নি এখনো, এর কারন নিশোর ইচ্ছা হলো…..এমন একটি ভিন্নধর্মী চরিত্র বা গল্প হবে যা সম্পূর্ন ন্যাচারাল বা ইউনিক হওয়া চাই, কোন কপি স্কিপ্ট নয়। এই একটি কারনেই এখন পর্যন্ত অনেক মুভির অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন নিশো । তবে আমরা আশাবাদী খুব শিঘ্রই আমরা তাকে ভিন্নধর্মী কোন চলচিত্রে অভিনয় করতে দেখতে পাবো ।

টিভি নাটক ″যোগ বিয়োগ″-এ অভিনয়ের জন্য ২০১৬ সালে এবং বুকের বাঁ পাশে নাটকের জন্য ২০১৮ সালে  মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার “সেরা অভিনেতা (টিভি)” পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৯ সালে  এই শহরে ভালোবাসা নেই নাটকে— আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।


নিশো অভিনিত উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ হলো, অচেনা মানুষ, স্বপ্নগুলো ইচ্ছে মত, ইডিয়টস, টার্নওভার, ফুলমতি, শুধু তোর জন্য, তুমি না থাকলে, লোটাকম্বল, রেডরোস, বিয়ে পাগল, শেষচিঠি, আকাশের ঠিকানায়, ইঞ্জিন, ধুমকেতু, কংকাবতির চিঠি, প্রেম না দ্বিধা, আবারও দেবদাস, আকাশের ঠিকানায়, এক্স স্কয়ার, হাটবিট, নিখোজ ভালবাসা, সংসার, কমলা সুন্দরী, বাক, ডাইভোর্স, হাওয়াই শহরের গল্প, গুলবাহার, বুদোধয়, একটি অসমাপ্ত ভালবাসা, ঘুরে দাড়ানোর গল্প, প্রতীক্ষা, হেলফুল সাইফুল, হোমটিউটর, অগোচরে ভালবাসা, জীবন সংগী, কমলার বনবাস, অনুভবে, সহজ সরল ছেলেটা এবং বহুল জনপ্রিয় নাটক বুকের বা পাশে ইত্যাদি ।

আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে পাওয়া গেছে

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধর্মীয় বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানকে তার শ্বশুর আজহারুল ইসলাম মন্ডলের বাড়িতে ঢুকতে দেখেন তার প্রতিবেশী বিপ্লব মিয়া।

নিখোঁজ আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ চারজনকে পাওয়া গেছে। আজ ভোরে ফজরের নামাজ শেষে তিনি তার রংপুর নগরের বাসায় ফেরেন। বাসায় ফেরার পর তার স্ত্রীকে ফোনে জানান, তিনি ফিরেছেন। তবে কীভাবে ফিরলেন, কোথা থেকে ফিরলেন এসব বিষয় আপাতত তার স্ত্রীকে কারও সঙ্গে শেয়ার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

বিকেল ৩টার দিকে তাকে রংপুর নগরের আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন মাস্টার পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরে ত্ব-হাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রংপুর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ক্রাইম ডিভিশনের উপ-কমিশনার বলেন, আবু ত্ব-হাকে পাওয়া গেছে। তিনি উদ্ধার হয়েছেন। এই মুহূর্তে এইটুকু তথ্য আছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

গত ১০ জুন দিবাগত রাত থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না আবু ত্বহা, তার দুই সঙ্গী আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনের। সেদিন বিকেল ৪টার দিকে ওই তিনজনসহ আবু ত্ব-হা রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকার পথে রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে তিনি সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান।

এরপর রাত ২টা ৩৬ মিনিটে স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় আদনানের। তিনি সাভার যাচ্ছেন বলেই জানান স্ত্রীকেও। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে তাকে না পেয়ে ১১ জুন বিকেলে রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন ত্ব-হার মা আজেদা বেগম।

নকুল কুমার বিশ্বাসের জীবনী

নকুল কুমার বিশ্বাস একজন বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক।

নকুল কুমার বিশ্বাস ২ ডিসেম্বর ১৯৬৫ সালে মাদারীপুর জেলার দত্ত কেন্দুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কলাগাছিয়া গ্রামের এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে তার অবস্থান পঞ্চম।

বাবা প্রয়াত সুরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও মা মঙ্গলী দেবী। নকুলের জীবনে বড় ট্র্যাজেডি জন্মের ছয় বছর পরই মাকে হারানো। ১৯৭৫ সালে মেজো ভাই হীরালাল বিশ্বাসের হাত ধরে গোপালগঞ্জে আসেন । আট বছরে প্রায় অর্ধশত যাত্রাপালায় অভিনয় করেছেন। একসময় হারমোনিয়ামে রাগসংগীতের তালিম নেন নকুল। মাত্র ছয় মাসেই এটা আয়ত্ত করেন এবং প্রধান হারমোনিয়াম মাস্টার হিসেবে একটি স্কুলে শিক্ষক নির্বাচিত হন। গুরু আশু মিয়ার কাছে বিখ্যাত সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্করের গল্প শুনতেন। গল্প শুনতে শুনতে বিখ্যাত হওয়ার বাসনা জাগ্রত হয়। ১৯৮০ সালে পকেটে মাত্র ৫০০ টাকা নিয়ে পাড়ি জমান কলকাতায়। ছোট্ট নকুল কলকাতায় সুভাষ বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রখ্যাত সেতারবাদক ওস্তাদ মোস্তাক আলী খানের নাতি-শিস্য রণজিৎ বিশ্বাসের কাছে আসেন। তাঁর কাছে কিছুদিন সেতার শেখেন। কলকাতা থেকে ২৮০ টাকা দিয়ে কিনে নেন একটি সেতার। এরপর ফিরে আসেন দেশে।

১৯৮৩ সালে বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চলে আসেন ঢাকায়। আশ্রয় নেন মোহাম্মদপুরে ওস্তাদ আমানউল্লাহ খানের বাড়ির ভাঙা বারান্দায়। সেখানে বৃষ্টি এলে বিছানা গুটিয়ে বসে থাকতে হতো, বৃষ্টি থামলে বিছানা বিছিয়ে ঘুমাতেন। ১৯৮৬ সালে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেন। আবার আসেন ঢাকায়। এর মধ্যে বাজারে চলে আসে তাঁর গানের একাধিক অ্যালবাম। একই সঙ্গে গান ও পড়াশোনা চলতে থাকে। ১৯৯৬ সালে ‘ইত্যাদি’তে প্রচারিত হয় তাঁর গাওয়া ‘বিয়া করলাম ক্যানরে দাদা, বিয়া করলাম ক্যান’ গানটি। এই গানই তাঁকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়। যে নকুল করতেন বাউল-আধ্যাত্মিক গান, সেই নকুলই ওই সময় হয়ে ওঠেন অসাধারণ এক জীবনমুখী গায়ক। দীর্ঘদিন তিনি ‘ইত্যাদি’তে জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে জীবনমুখী গান নিয়ে হাজির হয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতার অডিও বাজারে লাগে নকুলের গানের ঢেউ। সেখান থেকে প্রকাশ পায় একাধিক অ্যালবাম। ভারত-বাংলাদেশে মিলে এভাবে তাঁর প্রায় অর্ধশত অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
স্ত্রী এবং দুই সন্তান পলক কুমার বিশ্বাস ও মেয়ে প্রত্যাশা বিশ্বাসকে নিয়ে নকুলের সুখের সংসার। তাঁর গানের মধ্যে ‘চাচায় চা চায়’, ‘এই আমার পকেটে আছে’, ‘মানুষটা পাঁচ ফিট’, ‘হ্যালো হ্যালো মাই ডিয়ার’, ‘মাগো, তুমি যেন না কাঁদো’, ‘পাঁচতলার ওই চিলেকোঠায়’, ‘ভালো হইতে পয়সা লাগে না’ বেশ জনপ্রিয়।

হানিফ সংকেতের সংক্ষিপ্ত জীবনী

২৩ অক্টোবর ১৯৫৮  সালে বরিশালে হানিফ সংকেত জন্ম গ্রহন করেন। তিনি বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। আশির দশক থেকে শুরু করে প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি বাংলাদেশের দর্শককুলকে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি এর মাধ্যমে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন। একাধারে তিনি উপস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক। তবে তাঁর উপস্থাপনাই তাকে সাধারনের মাঝে করেছে অসাধারণ।  ফজলে লোহানীর “যদি কিছু মনে না করেন” ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে তিনি প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

তবে তিনি কেবল হাস্যরসকে তুলে ধরেননি। বিভিন্ন সামাজিক অসঙ্গতি, অফিস-আদালতের দুর্নীতির বিপরীতে এবং মানবিকতার পক্ষে তার কার্যক্রম চলে। তার ইত্যাদি নামক ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান।

হানিফ সঙ্কেতের রম্য রচনার সংখ্যাও কম নয়। তাঁর বইসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-  শ্রদ্ধেয় রাজধানী, আটখানার পাটখানা,  ‘কষ্ট’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘কিংকর্তব্যবিমূড়’, ‘গণ্য মান্য সামান্য’ ইত্যাদি।

তাঁর পরিচালিত নাটকসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়, পুত্রদায়, বিপরীতে হিত, কিংকর্তব্য, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

তার অভিনীত নাটক: ‘কুসুম’ যেটার পরিচালক ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। তিনি প্রথম ১৯৮৮ সালে ‘আগমন’ সিনেমায় খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এছাড়াও তিনি  ‘চাঁপা ডাঙ্গার বউ এবং ঢাকা-৮৬’ চলচিত্রে অভিনয় করেন।

কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ‘প্রথম প্রেম’ সিনেমায় – ‘তু তু তু তু তা রা মর্জিনার বাপ মার্কামারা’ গানটি গেয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেন।

ইত্যাদির শুরুটা ৯০ এর দশকে। এখনো বাংলাদেশের টেলিভিশন অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয়। তাঁর সামাজিক কার্যক্রমের জন্য তিনি ২০১০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সম্মানে তিনি ভূষিত হন। হানিফ সংকেত “ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন মজায় মজায়।

He Apologized After Breaking The Stump By Kicking: Shakib

Mohammedan captain Shakib Al Hasan has apologized for his behavior. Mohammedan captain Shakib Al Hasan broke his stump by kicking in the Mohammedan-Abahani match in the Dhaka Premier League T20 today.

Umpire Imran Parvez did not respond to LBW’s plea against Mushfiqur Rahim in the fifth over of the innings at the Sher-e-Bangla Stadium in Mirpur. Shakib immediately broke the stump by kicking.

In the next over, when it rained during the bowling of the lucky home, when the umpire announced to stop the game, Shakib removed the stump with his own hand. There was a heated exchange between Shakib and the umpire for some time. Then on the way back to the dressing room, he got into an argument with Abahani coach Khaled Mahmood.
Shakib apologized on social media after these incidents.

Kalimullah Agreed to Act as a Hero if Offered

Professor Dr. discussion for a few days. Nazmul Ahsan Kalimullah. He is the Vice Chancellor of Begum Rokeya University. Since taking office, he has given birth to many discussions and criticisms. He came to the discussion again last Wednesday. This new discussion was born with the class at 3 o’clock at night.

There are many issues circulating about Kalimullah on social media. The scene of a movie starring Kalimullah has gone viral.
In that scene of the movie, a high-ranking police officer said. Kalimullah. There have been questions on social media about acting in movies as a VC. However, he is looking at acting in the film positively.
Kalimullah said, "I acted in the movie which went viral on Facebook for the first time." The hugely successful movie ‘Shooter’, which was released simultaneously in 148 theaters across the country. In the movie Shooter, I mainly play the role of the Police Commissioner of Dhaka.
Asked if he would like to play the lead role in a film, he said, "I would gladly accept any offer from a director."
Drawing on the history of his acting life, Kalimullah told the media that his education started at Bulbul Fine Arts Academy (Wise Ghat adjacent to Ahsan Manzil in Old Dhaka). There he studied till third class. While studying there, he became interested in dance and song along with acting. Family inspiration was also his companion.
 

The Young Man Who Publicly Slapped The President Of France Was Jailed For 4 Months

Damien Terrell, a young man who slapped French President Emmanuel Macron, has been sentenced by a local court to four months in prison. On Thursday, the accused was initially sentenced to 18 months in prison, but his sentence was later suspended. As a result, he will have to spend four months in jail as a punishment for slapping the president.

An Al Jazeera report said a prosecutor described Tarel's actions as "absolutely unacceptable" and "voluntary violence" since the incident.
 
Macron visited the Drom area in southern France last Tuesday. At this time he went near the barricade to 'shake hands' with the locals. Terrell slapped him hard on the cheek. Macron was immediately removed and the young man was detained.
Terrell told the court that Macron had planned to throw eggs or cream at him a few days before he visited the area. However, slapping was not in his plan. According to BFM TV, Terrell told the court, "I think Macron is very clearly leading our country to collapse.
 
If I had challenged Macron to wrestle in broad daylight, I don't think he would have agreed. "